বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ আমরা যদি একটু অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো গত ১৪ বছরে চট্টগ্রাম নগরের জন্য কি কি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে কেউ ভাবেনি। কিন্তু চট্টগ্রামে মেট্রোরেল সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। গত ১৪ বছরে চট্টগ্রাম শহরে ৭ থেকে ৮টি ফ্লাইওভার হয়েছে। আরো একটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হতে যাচ্ছে যেটির দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। এছাড়াও ৩৭ হাজার একর জমির উপর বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর গড়ে উঠছে। সেখানে বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা উৎপাদনে গেছে। এই যে কর্মযজ্ঞের ফলে আগামীতে চট্টগ্রাম শহরের পরিধি হবে মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর পর্যন্ত। ১৪ বছর আগে যে বিদেশ গেছে সে এখন তার গ্রাম কিংবা শহর চিন্তে পারে না। সেটি হোক ঢাকা কিংবা চট্টগ্রাম, হোক বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর কিংবা সিলেট। সুতরাং, গল্প ও সিনেমার দৃশ্যপটের মত বাংলাদেশ বদলে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ) নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের এ বদলে যাওয়া নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এমডি প্রশংসা করেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন, জাতীসংঘের মহাসচীব প্রশংসা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপিসহ তাদের দোসরেরা এ উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। তারা পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে জনসভায় গিয়ে বলে দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। যাদের চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির তাদেরকে কেউ আলোও দিতে পারবে না, শ্রবণশক্তিও দিতে পারবে না।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা এবং সিটি কর্পোরেশনকে সব মিলিয়ে ১.২ মিলিয়ন অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। সকলের সমন্বয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামবাসী জলাবদ্ধতা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এম এ লতিফ এমপি, চসিক মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম সভাপতি মাহবুবুল আলম, কো. চেয়ারম্যান সিরাজ চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রায় ৪ লক্ষ বর্গফুট জায়গায় আয়োজিত এ মেলায় ৪ শত স্টলে প্রায় ৩ শত অধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
এবারের মেলায় দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাসহ নতুন সংযোজন হিসেবে শিশুদের বিনোদনের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশে ‘‘বিনোদন কেন্দ্র’’ স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ধরা হয়েছে বিশ টাকা। তবে নগরীর বিভিন্ন স্কুলের প্লে থেকে ৭ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
এ মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগণ বিশেষভাবে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করবেন। এছাড়াও দক্ষ প্রাইভেট সিকিউরিটির সদস্যরা ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। আর বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুরো মেলা সিসিটিভি’র আওতায় থাকবে।
সূত্রঃ পিআইডি, চট্রগ্রাম
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply